বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইট্স সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন

সুদীর্ঘ রক্তক্ষরী স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রায় ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই করে নিয়েছে। যে বিশাল প্রত্যাশা নিয়ে এদেশের মেহনতি মানুষ অপরিমেয় ত্যাগ স্বীকার করেছিল সে প্রত্যাশা অপূর্ণই রয়ে গেছে। আমরা নানা কারণে তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত একটা গরীব দেশে পরিণত হরে আছি। কিন্তু আমরা নিয়তিবাদ বা অনিয়মের দাসত্বে বন্ধী নই। তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায়? আমাদের সমস্যা আর্থ-সামাজিক, আমরা ক্রমবর্ধমান অগণতান্ত্রিক রাজনীতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি, না পারছি রাজনৈতিক সংস্কার ঘটাতে, না পারছি সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতির পেক্ষাপট তৈরি করতে। তাই সর্বার্থে মনে করি এ দেশের রাজনীতিকগণ সার্বজনিন দেশ গড়ার লক্ষে যে কাজ করা উচিত ছিল তা করতে যুগে যুগে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আজ অশিক্ষা, অপ-রাজনীতি এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ আমাদের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, হতে উত্তোরণের পথ জনগণকে সাথে নিয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিকদের খুঁজতে হবে।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এদেশের শাসন ক্ষমতায় থাকা দলগুলো গোটা জাতিকে হতাশ করেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতাকে নির্লজ্জভাবে ব্যক্তি ও গোষ্ঠিস্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে।
১. মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।
২. প্রয়াত সকল জাতীয় নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
৩. বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ।
8. টেকসই গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
৫. সামাজিক প্রগতি, শান্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিতকরণ।
৬.ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিয়া রাষ্ট্র কর্তৃক নিরপেক্ষভাবে সকল ধর্মের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করণের পাশাপাশি সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণ।
৭. শ্রম অধিকার নিশ্চিত করন ও শ্রমিকদের সর্বোচ্চ ন্যায্য বেতন কাঠামো ধার্য্য করা।
৮. স্থানীয় সরকারকে সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিকভাবে জনগণের সরাসরি ভোট/ম্যান্ডেটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহন।
৯.জাতিসংঘ সনদ ও কমনওয়েলথ এর প্রতি আস্থা জ্ঞাপন ।
১০. কৃষক শ্রমিক মেহুনতি মানুষের অধিকার সংরক্ষণে সকল প্রকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণ করা।
১১. আইনের শাসন তথা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত এর মাধ্যমে সমাজে ন্যার বিচার নিশ্চিত করণ।
১. মুক্তিযুদ্ধের চেতানার বাস্তবায়নের লক্ষে সকল সঠিক তালিকা প্রণয়ন করত: মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীর সম্মান সমুন্নত রেখে তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় অধিষ্টিত করণে পদক্ষেপ গ্রহন।
২. রাষ্ট্রির প্রশ্নে জাতীর ঐক্যমত প্রতিষ্ঠাকরণ উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দৃঢ় অঙ্গীকারের সাথে ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাজ করা।
৩. অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে তৃণমূল নারী অধিকার নিশ্চিত করা।
8. শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকল প্রকার দুর্নীতি পেশীশক্তি ও অন্যায়ের চিরস্থায়ী নির্মূলে পদক্ষেপ গ্রহন।
৫. আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে অবাধ তথ্য প্রবাহে উৎকর্ষতা সাধনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন।
৬. শিক্ষা বিস্তারে সময়োপযোগী ও আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের পাশাপাশি নারী পুরুষ উভয়ের কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। করা।
৭. মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সার্বভৌমত্ব-সমতার ভিত্তিতে সকল স্বাধীন দেশের সাথে আন্তর্জাতিক, দ্বি-পাক্ষিক, আঞ্চলিক স্বার্থ সংরক্ষণে দেশের স্বার্থ নিশ্চিত করা।
টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়
- সার্বিক জাতীয় ঐক্য : জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় পরিচয় নিয়ে অহেতুক বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সকল অংশে সম-অংশীদারীত্বের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সুসংহত জাতিস্বত্ত্বা নির্মাণ।
- ভারসাম্যময় সরকার পদ্ধতি : বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহন করে একটি সার্বভৌম স্বাধীন জাতীয় সংসদীয় পদ্ধতি প্রতিষ্ঠাকরণের পাশাপাশি রাষ্ট্রির প্রশাসনে জবাবদিহিতা ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
- গণমূখী অর্থনীতি : সম্পদের সুষম বন্টন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে একটি জাতীয় গণমূখী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠাকরণের চূড়ান্ত লক্ষ্যে বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কল্যাণমূখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা।
- তৃনমূল গণতন্ত্র : রাষ্ট্রীয় জনপ্রশাসনে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণসহ প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারসমূহের ক্ষমতারন ও তৃনমূল পর্যায়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
- সার্বজনীন শিক্ষা : সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাহাতে প্রতিটি মানুষ শিক্ষালাভের সম-সুযোগ লাভ করে এবং জাতীর শিক্ষানীতিকে ঢেলে সাজানো, যাহাতে প্রজন্ম একক জাতীর ভাবধারার উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি শক্তিশালী জাতি সত্ত্বার বিকশিত হয়।
