Ideas and Principles
আদর্শ ও মূলনীতি
বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইট্স সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন(বিএলএইচআরএসএফ) একটি মানবাধিকার ও আইনগত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। এর উদ্দেশ্য হলো জনগণের আইনগত সচেতনতা বাড়ানো এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য সমর্থন প্রদান করা। ইব্রাহীম খলিল (মজুমদার) ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে আইনগত সহায়তা, মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষা ও জনসচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের একজন অভিজ্ঞ অ্যাডভোকেট এবং আইন বিচারিক ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছেন। ফাউন্ডেশনটি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও ন্যায়ের জন্য লড়াই করা জনগণের পাশে থেকে তাদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে চলছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইট্স সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন(বিএলএইচআরএসএফ) একটি অরাজনৈতিক এবং বেসরকারী, অলাভজনক, লিগ্যাল এবং হিউম্যান রাইট্স প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন সংক্রান্ত স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠান। এর উদ্দেশ্যাবলী বাস্তবায়নের পূর্বে সরকার এর যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় অনুমতি গ্রহণ করা হবে এবং সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন এ্যাক্ট ১৮৬০ এর ২০ ধারা পরিপন্থি উদ্দেশ্য বা উদ্দেশ্যাবলী অকার্যকর বলে গণ্য হবে।

সুদীর্ঘ রক্তক্ষরী স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রায় ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই করে নিয়েছে। যে বিশাল প্রত্যাশা নিয়ে এদেশের মেহনতি মানুষ অপরিমেয় ত্যাগ স্বীকার করেছিল সে প্রত্যাশা অপূর্ণই রয়ে গেছে। আমরা নানা কারণে তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত একটা গরীব দেশে পরিণত হরে আছি। কিন্তু আমরা নিয়তিবাদ বা অনিয়মের দাসত্বে বন্ধী নই। তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায়? আমাদের সমস্যা আর্থ-সামাজিক, আমরা ক্রমবর্ধমান অগণতান্ত্রিক রাজনীতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি, না পারছি রাজনৈতিক সংস্কার ঘটাতে, না পারছি সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতির পেক্ষাপট তৈরি করতে। তাই সর্বার্থে মনে করি এ দেশের রাজনীতিকগণ সার্বজনিন দেশ গড়ার লক্ষে যে কাজ করা উচিত ছিল তা করতে যুগে যুগে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আজ অশিক্ষা, অপ-রাজনীতি এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ আমাদের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, হতে উত্তোরণের পথ জনগণকে সাথে নিয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাজনৈতি- কদের খুঁজতে হবে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এদেশের শাসন ক্ষমতায় থাকা দলগুলো গোটা জাতিকে হতাশ করেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতাকে নির্লজ্জভাবে ব্যক্তি ও গোষ্ঠিস্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। ধারাবাহিক দেশ উন্নয়নের সম্প্রসারণনীতি হতে উন্নয়নের টাকা বা রাষ্ট্রীয় সম্পদ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নানা কৌশলে মুন্ঠন চলছে। জাতীর রাজনীতিকে সংকীর্ণ গভীর নিষ্ঠুর জাঁতাকলে পিষ্ঠ করে সমস্যার জালে আবদ্ধ করা হচ্ছে গোটা জাতিকে।
বাংলাদেশের রাজনীতির মূল ভীতি হয়ে উঠেছে সুবিধাবাদ। এই সুবিধাবাদের রাজনীতি জাতীয় রাজনীতি থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ে নেতাদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে ভাইরাসের মত বিস্তার লাভ করছে। দীর্ঘ প্রায় পয়তাল্লিশ বছরে সুবিধাভোগি রাজনৈতিক প্রবনতা থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিকগণ বেড়িয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এখনও হচ্ছেন। দেশ আজ এক সংঘাতমর অবস্থার মোকাবেলা করছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করণের লক্ষ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোর অগণতান্ত্রীক প্রক্রীয়া গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বাস্তাবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। যার পরিণামে বিবাদমান সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা জাতিকে এক ভয়াবহ নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি করে তুলেছে। জাতির এই দুঃসমরে আজ প্রয়োজন দেখা দিয়েছে সুস্থ রাজনীতির। জাতি আজ এই দুর্নীতি, অপ-রাজনীতি ও দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্তি চায় ।
দুঃশাসনের যাতাকল হতে যুক্ত হওয়া আজ গোটা জাতির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে পরিগণিত। তাই এ মুহুর্তে প্রয়োজন দেখা দিয়েছে অসুস্থ ধারার এই অপ-রাজনীতির বেড়াজাল হতে নতুন রাজনীতির দ্বার উন্মোচন । সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে এক স্বাধীন ও উন্নত জাতি হিসেবে মর্যাদাশূন্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়া।তাই উন্নত গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার জনগণের আকাঙ্খার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকল ধর্মের লোকদের সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজার রেখে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।