বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য হলো মানবাধিকার রক্ষা, আইনি সহায়তা প্রদান এবং সমাজের দুর্বল ও অধিকারহীন জনগোষ্ঠীর মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করা। এই সংস্থা সকল মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করে, বিশেষ করে যারা আইনি সহায়তা পান না বা স্বল্প আয়ের কারণে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে পড়েন।
সংস্থার মূল মূল্যবোধ হলো মানবাধিকার, গনতন্ত্র, স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি। এই নীতিমালা অনুসারে, সকল কার্যক্রম মানবাধিকার ও আইনি নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিচালিত হবে। আইনি পরামর্শ, প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনী সহায়তা প্রদান আমাদের প্রধান কার্যক্রম। এই সহায়তা প্রদান করে আমরা জনসচেতনতা বাড়াতে চাই যাতে সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে জানতে পারে ও কার্যকরভাবে তা রক্ষা করতে পারে।
সংস্থাটি বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী অংশীদার, এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে আমরা নিয়মিত অডিট ও মূল্যায়ন করব। সকল কার্যক্রমের জন্য দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করার জন্য একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পরিচালনা কাঠামো গড়ে তুলব।
অঙ্গীকার করছি যে, আমরা সব সময় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি ও বাংলাদেশের আইনি নীতিমালা অনুসরণ করব। এই নীতির মাধ্যমে আমরা সমাজের দুর্বল ও অধিকারহীন জনগোষ্ঠীর জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত, সমতা ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকব।
বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের নীতিমালা (পলিসি)
**1. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য**
বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য হলো মানবাধিকার রক্ষা, আইনি সহায়তা প্রদান ও সমাজের দুর্বল ও অধিকারহীন জনগোষ্ঠীর মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিতকরণ।
**2. মূল মূল্যবোধ**
– মানবাধিকার ও গনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা
– স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
– সমতা ও অন্তর্ভুক্তি
– আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার
– সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠা
**3. কার্যক্রম ও পরিষেবা**
– আইনি পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান
– মানবাধিকার সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ
– আইনি শিক্ষা ও অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি
– জনমত গঠন ও লিগ্যাল রিফর্মে সহায়তা
– ক্ষতিগ্রস্ত ও অধিকারহীন জনগোষ্ঠীর জন্য আইনী সহায়তা নিশ্চিতকরণ
**4. অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা**
– সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, এনজিও, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা
– স্বেচ্ছাসেবক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি
**5. পরিচালনা ও প্রশাসন**
– একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পরিচালনা কাঠামো প্রতিষ্ঠা
– নীতি, পরিকল্পনা ও কার্যক্রমে প্রগতি ও উন্নয়নমূলক মূল্যায়ন
– সকল কার্যক্রমের জন্য দায়িত্বশীল ও স্বচ্ছ নিরীক্ষা প্রণয়ন
**6. মানবাধিকার ও নীতি অনুসরণ**
– আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি ও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ অনুসরণ
– সকল কার্যক্রমে সম্মান, ন্যায় ও সমতা নিশ্চিত
**7. অডিট ও মূল্যায়ন**
– বার্ষিক অডিট ও কার্যক্রম মূল্যায়নের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত
– সমাজের প্রত্যাশা ও চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখা